দুর্গাপুর ১২:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য নিহত

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল জব্বার (৭০) নামে এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন।  শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বোয়ালী ইউনিয়নের জোদ্দ সরকার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল জব্বার ছিলেন নশরৎপুর গ্রামের মৃত খেজের উদ্দীনের ছেলে। তিনি উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।

পুলিশ জানান, সানোয়ার মিয়ার প্রবাসী ছেলের স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতে না থেকে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। কিছুদিন থেকে তার ছেলের স্ত্রী ঘরের আসবাবপত্র তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আছিলেন। এ ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর একটি শালিসের আহন করেন শ্বশুর সানোয়ার মিয়া। সেই শালিসে উপস্থিত হন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আব্দুল জোব্বার। সালিশ চলাকালে সানোয়ার মিয়ার ছেলের স্ত্রীকে আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন মেম্বার আব্দুল জোব্বার।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সানোয়ার মিয়ার মেয়ে মুক্তা রানী মেম্বারের উপর হামলা চালান। হামলার সময় তার দাঁড়ি, চুল টেনে ধরাসহ বুকে পিড়া (বসার বস্তু) দিয়ে আঘাত করেন মুক্তা রানী। এ সময় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়ে মেম্বার। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, আমার বড় ভাইকে জুমার নামাজের ওজু করার সময় শালিসের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সানোয়ার মিয়ার বাড়ির সেই শালিসে তার মেয়ে আমার বৃদ্ধ বাবাকে আঘাত করেন। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। আমরা এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিব।

বোয়ালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু বলেন, সানোয়ার মিয়ার ছেলের স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতে থাকতে চান না। তাই তার ঘরের আসবাবপত্র তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। শালিসে মেম্বার সেসব আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলে সানোয়ারের মেয়ে মুক্তা রানী মেম্বারের চুল, দাঁড়ি ধরে টানা হেঁচরা করেন। এক পর্যায়ে তার বুকে পিড়া দিয়ে আঘাত করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আতিকুর রহমান/এমবি, সূত্র:: বাংলাদেশের খবর

পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি করতে গিয়ে ইউপি সদস্য নিহত

০৫:২৮:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

গাইবান্ধার সদর উপজেলায় পারিবারিক বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আব্দুল জব্বার (৭০) নামে এক ইউপি সদস্য নিহত হয়েছেন।  শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে বোয়ালী ইউনিয়নের জোদ্দ সরকার পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আব্দুল জব্বার ছিলেন নশরৎপুর গ্রামের মৃত খেজের উদ্দীনের ছেলে। তিনি উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন।

পুলিশ জানান, সানোয়ার মিয়ার প্রবাসী ছেলের স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতে না থেকে তার বাবার বাড়িতে থাকতেন। কিছুদিন থেকে তার ছেলের স্ত্রী ঘরের আসবাবপত্র তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আছিলেন। এ ঘরের জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ সৃষ্টি হয়। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর একটি শালিসের আহন করেন শ্বশুর সানোয়ার মিয়া। সেই শালিসে উপস্থিত হন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বার) আব্দুল জোব্বার। সালিশ চলাকালে সানোয়ার মিয়ার ছেলের স্ত্রীকে আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন মেম্বার আব্দুল জোব্বার।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সানোয়ার মিয়ার মেয়ে মুক্তা রানী মেম্বারের উপর হামলা চালান। হামলার সময় তার দাঁড়ি, চুল টেনে ধরাসহ বুকে পিড়া (বসার বস্তু) দিয়ে আঘাত করেন মুক্তা রানী। এ সময় জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটে পড়ে মেম্বার। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের ছোট ভাই আব্দুল মান্নান বলেন, আমার বড় ভাইকে জুমার নামাজের ওজু করার সময় শালিসের কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। সানোয়ার মিয়ার বাড়ির সেই শালিসে তার মেয়ে আমার বৃদ্ধ বাবাকে আঘাত করেন। পরে হাসপাতালে তিনি মারা যান। আমরা এ ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিব।

বোয়ালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাবু বলেন, সানোয়ার মিয়ার ছেলের স্ত্রী শ্বশুর বাড়িতে থাকতে চান না। তাই তার ঘরের আসবাবপত্র তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। শালিসে মেম্বার সেসব আসবাবপত্র নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলে সানোয়ারের মেয়ে মুক্তা রানী মেম্বারের চুল, দাঁড়ি ধরে টানা হেঁচরা করেন। এক পর্যায়ে তার বুকে পিড়া দিয়ে আঘাত করেন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আতিকুর রহমান/এমবি, সূত্র:: বাংলাদেশের খবর