দুর্গাপুর ১২:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্গাপুরে হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী পৌষ উৎসব অনুষ্ঠিত

আল নোমান শান্ত :  নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী পৌষ উৎসব।
ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অর্থায়নে ও আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা’র আয়োজনে  এ উৎসব হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিরিশিরি’র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি হলরুমে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন আদিবাসী লেখক ও গবেষক  মতিলাল হাজং। এরপর আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দেউলী পূজা হয়।
আলোচনা সভায় কবি দোলন হাজং ও মনীষা হাজং এর সঞ্চালনায় আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা’র সভাপতি কবি মং এ খেন মংমং সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির  বক্তব্যে রাখেন বিরিশিরি ডনবস্কো কলেজের পরিচালক ফাদার পাওয়েল কুচওয়ালিক।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিরিশিরি’র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কিপার আসমা ফেরদৌস,প্রিন্সিপাল মণীন্দ্রনাথ মারাক,  বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং,এডভোকেট বিপুল হাজং,নারী নেত্রী সন্ধ্যা রাণী হাজং, চিত্রশিল্পী ও গাঁওমোড়ল বিশ্বজিৎ হাজং রুপক, কবি জন ক্রসওয়েল খকশি প্রমুখ।
গীতিকবি সুজন হাজং বলেন, হাজংরা উৎসবমুখর জাতি। হাজংদের অধিকাংশ উৎসব বিলুপ্তির পথে। তাদের ধর্মীয় ও কৃষিভিত্তিক উৎসবগুলো মধ্যে দেউলী পৌষ উৎসব একটি অন্যতম বর্ণিল উৎসব। জীবন ঘনিষ্ঠ এই উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ইউনেস্কো ও জাতীয় জাদুঘরের অর্থায়নে এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
কবি মং এ খেন মংমং বলেন, হাজংরা নিজেদের আত্মপরিচয়,সংস্কৃতি চর্চা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে যেন আরো বেশি যত্নশীল হয় এবং
তারা যেন তাদের সোনালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতে পারে এটাই আমাদের এই উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
প্রধান অতিথি ফাদার পাওয়েল কুচওয়ালিক বলেন, হাজংরা সংস্কৃতিবান জনগোষ্ঠী। তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে।  আমি বিশ্বাস করি হাজং সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে দেউলী উৎসব উদযাপন  একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷
আলোচনা শেষে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত হাজং শিল্পীরা তাদের কৃষ্টি কালচার তুলে ধরে নৃত্য ও গান পরিবেশন করে। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও পাঠা বলির মাধ্যমে দেউলী পূজা অর্চনার কাজ সম্পন্ন করা হয়।
ট্যাগ :

দুর্গাপুরে হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী পৌষ উৎসব অনুষ্ঠিত

০১:৫৭:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
আল নোমান শান্ত :  নেত্রকোনার দুর্গাপুরে অনুষ্ঠিত হলো হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী পৌষ উৎসব।
ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অর্থায়নে ও আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা’র আয়োজনে  এ উৎসব হয়। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে বিরিশিরি’র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি হলরুমে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন আদিবাসী লেখক ও গবেষক  মতিলাল হাজং। এরপর আলোচনা সভা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দেউলী পূজা হয়।
আলোচনা সভায় কবি দোলন হাজং ও মনীষা হাজং এর সঞ্চালনায় আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থা’র সভাপতি কবি মং এ খেন মংমং সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির  বক্তব্যে রাখেন বিরিশিরি ডনবস্কো কলেজের পরিচালক ফাদার পাওয়েল কুচওয়ালিক।
স্বাগত বক্তব্য দেন বিরিশিরি’র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কিপার আসমা ফেরদৌস,প্রিন্সিপাল মণীন্দ্রনাথ মারাক,  বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং,এডভোকেট বিপুল হাজং,নারী নেত্রী সন্ধ্যা রাণী হাজং, চিত্রশিল্পী ও গাঁওমোড়ল বিশ্বজিৎ হাজং রুপক, কবি জন ক্রসওয়েল খকশি প্রমুখ।
গীতিকবি সুজন হাজং বলেন, হাজংরা উৎসবমুখর জাতি। হাজংদের অধিকাংশ উৎসব বিলুপ্তির পথে। তাদের ধর্মীয় ও কৃষিভিত্তিক উৎসবগুলো মধ্যে দেউলী পৌষ উৎসব একটি অন্যতম বর্ণিল উৎসব। জীবন ঘনিষ্ঠ এই উৎসবকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য ইউনেস্কো ও জাতীয় জাদুঘরের অর্থায়নে এই মহৎ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
কবি মং এ খেন মংমং বলেন, হাজংরা নিজেদের আত্মপরিচয়,সংস্কৃতি চর্চা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে যেন আরো বেশি যত্নশীল হয় এবং
তারা যেন তাদের সোনালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতে পারে এটাই আমাদের এই উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য।
প্রধান অতিথি ফাদার পাওয়েল কুচওয়ালিক বলেন, হাজংরা সংস্কৃতিবান জনগোষ্ঠী। তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে।  আমি বিশ্বাস করি হাজং সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে দেউলী উৎসব উদযাপন  একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে৷
আলোচনা শেষে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত হাজং শিল্পীরা তাদের কৃষ্টি কালচার তুলে ধরে নৃত্য ও গান পরিবেশন করে। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও পাঠা বলির মাধ্যমে দেউলী পূজা অর্চনার কাজ সম্পন্ন করা হয়।