দুর্গাপুর ০১:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কলমাকান্দায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

শেখ শামীম : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থান থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

উদ্ধারকৃত মৃতদেহ দুটি হলো- গৃহবধূ লিজা আক্তার ((২০)। তিনি কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের শিংপুর গ্রামের এহসানুল হক মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী। অপরজন অন্তঃসত্ত্বা ও এক সন্তানের জননী নুরুন্নাহারের (২৩)। তিনি কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী এলাকা লেংগুরার তারানগর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আঠারো মাস আগে লিজার আক্তারের সাথে এহসানুল হক মিলনের বিয়ে হয়। বিবাহের পর থেকে কলমাকান্দা মধ্য বাজারে ফ্ল্যাট বাসায় বাড়া থাকতেন লিজা। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে পারিবারিক দ্বন্ধ এই মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে দরজা বন্ধ ঘরে পরিবারের লোকজন লিজা আক্তারের সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে রান্না ঘরের জানালার গ্রীলের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা ও এক সন্তানের জননী নুরুন্নাহার প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সাহরির খাওয়ার জন্য নুরুন্নাহারে শ্বাশুরি ডাক দিলে তার স্বামী ঘুম থেকে উঠেন। বিছানায় স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় দেখতে পান।

পৃথক স্থান থেকে দুই নারীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য দুজনে মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কলমাকান্দায় অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

১০:৪২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

শেখ শামীম : নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় পৃথক পৃথক স্থান থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারী ও এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে মৃতদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।

উদ্ধারকৃত মৃতদেহ দুটি হলো- গৃহবধূ লিজা আক্তার ((২০)। তিনি কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের শিংপুর গ্রামের এহসানুল হক মিলনের দ্বিতীয় স্ত্রী। অপরজন অন্তঃসত্ত্বা ও এক সন্তানের জননী নুরুন্নাহারের (২৩)। তিনি কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী এলাকা লেংগুরার তারানগর গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আঠারো মাস আগে লিজার আক্তারের সাথে এহসানুল হক মিলনের বিয়ে হয়। বিবাহের পর থেকে কলমাকান্দা মধ্য বাজারে ফ্ল্যাট বাসায় বাড়া থাকতেন লিজা। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী মধ্যে পারিবারিক দ্বন্ধ এই মৃত্যুর কারণ হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ (মঙ্গলবার) দুপুরের দিকে দরজা বন্ধ ঘরে পরিবারের লোকজন লিজা আক্তারের সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে রান্না ঘরের জানালার গ্রীলের সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় গৃহবধূর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

অন্যদিকে অন্তঃসত্ত্বা ও এক সন্তানের জননী নুরুন্নাহার প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সাহরির খাওয়ার জন্য নুরুন্নাহারে শ্বাশুরি ডাক দিলে তার স্বামী ঘুম থেকে উঠেন। বিছানায় স্ত্রীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় দেখতে পান।

পৃথক স্থান থেকে দুই নারীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারে সত্যতা নিশ্চিত করে কলমাকান্দা থানার ওসি মুহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য দুজনে মরদেহ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় পৃথক দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।